ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ৫ নং মহামায়া ইউনিয়নের যুবদলের আহবায়ক আব্দুল মোমিনের নেতৃত্বে, বিএনপির সহ সভাপতি ডাক্তার আবুল হোসেনের বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা ইন্জিনিয়ার নেজাম পূর্ব শত্রুতার জের ধরে, মহামায়া ইউনিয়নের যুবদলের আহবায়ক আব্দুল মোমিন ও তার সহযোগীদের নিয়ে, গত ৬ সেপ্টেম্বরে মহামায়া ইউনিয়নের বিএনপির মূলদলের সহ সভাপতি ডাক্তার আবুল হোসেনের বাড়ি দখল করার জন্য যায়, এবং ব্যাপক ভাংচুর ও চালিয়েছে।

আরো জানা যায়, ২০১৮ সালে মটুয়ার সবুজ হত্যাকে কেন্দ্র করে ইঞ্জিনিয়ার নেজাম ফেনী ২ আসনের সাবেক সাংসদ নিজাম হাজারীর দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ডাক্তার আবুল হোসেনর ছেলে, আবুল হাসেম (৪২) কে সহ ছাগলনাইয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি কাজী জসিম,ও ছাগলনাইয়া পৌর যুবদলের আহবায়ক জয়নাল আবেদীনকে এই মামলায় জড়িত করেন।আবুল হাসেম এই মামলায় দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, ইঞ্জিনিয়ার নেজাম মিয়ার আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি ও স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সহযোগীতা নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, এখন নিজেকে বাঁচানোর জন্য যুবদলের আহবায়ক আব্দুল মোমিন ও ইয়াবা কারবারি জাহাঙ্গীর প্রকাশ কুত্তা জাহাঙ্গীর মোটা অংকের বিনিময়ে হাত করে মানুষের বাড়িঘর দখল করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান, মহামায়া ইউনিয়নের যুবদলের আহবায়ক আব্দুল মোমিন ও ইয়াবা কারবারি জাহাঙ্গীর বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন জায়গায়, হুমকি ধামকি দিয়ে চাঁদাবাজি করে। সেই সুবাদে সাবেক সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী ও নাসিমের খুব সম্পর্কের লোক ইন্জিনিয়ার নেজামের কূকির্তি আড়াল করার জন্য মোটা অংকের বিনিময়ে, বিএনপির সহ সভাপতি ডাক্তার আবুল হোসেনের বাড়ি দখল করতে আসছে।

উল্লেখ্য. গত ৫ ই আগষ্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির নাম ক্ষুন্ন করার জন্য এক শ্রেনীর অসাধু লোক ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে আসছে, মূলত এদের সাথে তাল মিলিয়েই মহামায়ার আব্দুল মোমিন ও ইয়াবা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর প্রকাশ কুত্তা জাহাঙ্গীর সক্রিয় হয়ে উঠেছে।